এবার ছয় জাতির টুর্নামেন্ট এশিয়া কাপ শুরুর আগে এবং মাঝপথে ইনজুরির কারণে ছিটকে যান বাংলাদেশের বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার। যে কারণে তাদের বেশ কয়েকজনকে ভারতে অনুষ্ঠেয় ওয়ানডে বিশ্বকাপে পাওয়া নিয়ে শঙ্কা রয়েছে। তবে ক্রিকেট বিশ্বমঞ্চে লড়াইয়ের আগে ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলবে টাইগাররা। এই সিরিজে নতুন করে কেউ চোটে পড়লে চিন্তা আরও বাড়বে টিম ম্যানেজমেন্টের। তাই এই বিষয়টি মাথায় রেখেই কিউইদের বিপক্ষে ১৫ সদস্যের স্কোয়াড দিয়েছে টাইগার টিম ম্যানেজমেন্ট।
গতকাল শনিবার ১৬ সেপ্টেম্বর আসন্ন নিউজিল্যান্ড সিরিজের প্রথম ও দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচের জন্য স্কোয়াড ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। এই দুই ম্যাচে নিয়মিত অধিনায়ক সাকিবকে বিশ্রাম দেওয়ায় দলের নেতৃত্ব দেবেন লিটন দাস। সাকিব ছাড়াও আরও বেশ কয়েকজন ক্রিকেটারকে এই সিরিজে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে। এই তালিকায় আছেন মুশফিকুর রহিম, মেহেদি হাসান মিরাজ, তাসকিন আহমেদ, হাসান মাহমুদ, শরিফুল ইসলামের মতো ক্রিকেটাররা।
এদিকে মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়েও বেশ ফর্মে ছিলেন সাকিব-মুশফিকরা। তবে কিউই সিরিজে তাদের না থাকা নিয়ে বিসিবির প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নুর ভাষ্য, সামনে ভারতে বিশ্বকাপ, সেটা মাথায় রেখেই খেলোয়াড়দের বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে। বিশ্বকাপ অনেক লম্বা টুর্নামেন্ট। সেখানে ক্রিকেটারদের মানসিক ও শারীরিক ফিটনেস অনেক গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি আরও যোগ করেন, এই নিউজিল্যান্ড সিরিজ বড় টুর্নামেন্টের আগে আমাদের কয়েকজন ক্রিকেটারকে যাচাই করে নেওয়ার সুযোগ দিচ্ছে। দলটা অভিজ্ঞতা আর তারুণ্যের মিশ্রণে সাজানো হয়েছে। খালেদ, জাকির ও রিশাদ এখন পর্যন্ত অনভিষিক্ত। জাকির আয়ারল্যান্ড সিরিজেই খেলত, তবে দুর্ভাগ্যবশত ইনজুরিতে পড়েছিল। খালেদ লিস্ট ‘এ’ ক্যারিয়ারে ভালো করেছে। রিশাদ বোলিং আক্রমণে ভিন্ন মাত্রা যোগ করে।
এদিকে আগামী ২১ সেপ্টেম্বর থেকে মাঠে গড়াবে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজটি। ২৩ ও ২৬ সেপ্টেম্বর হবে সিরিজের বাকি দুটি ম্যাচ। সবগুলো ম্যাচই হবে শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। অন্যদিকে ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজটি শেষ করেই বিশ্বকাপের বিমানে চাপবে টাইগাররা। ৫ অক্টোবর থেকে শুরু হবে দেড় মাসের এই মহাযজ্ঞ।
এদিকে বাংলাদেশের বিশ্বকাপ মিশনটা শুরু হবে ৭ অক্টোবর আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচের মধ্য দিয়ে। তবে এর আগে ২৯ সেপ্টেম্বর ও ২ অক্টোবর শ্রীলঙ্কা ও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। এ ছাড়া ১১ নভেম্বর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচটি হবে রাউন্ড রবিন লিগে বাংলাদেশের শেষ ম্যাচ।